অইদিন রাইতে ছাদে গেলাম ছোটোভাই সহ। সিগারেট টানতে টানতে নানান আলাপ হইতেছিলো। প্রসঙ্গক্রমে
বিয়ায় না-জড়াইবার সিদ্ধান্ত নেবার দিকে যাইতেছি, এইটা জানাইলাম তারে। আমারে মোটামুটি অবাক করি-ই সে জিজ্ঞাসা করলো, তাইলে শরীর? মানে, শরীর তথা সেক্স বাবদে আমার কী অবস্থা হবে?
এই প্রশ্ন তার কাছ থাকি আশা করি নাই আমি। গতানুগতিক কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারতো সে। ধরেন, সন্তান বা পরিবার নিয়াই। বা একটু ঘুরায়া জানতে চাইতে পারতো। তার এইরকম সরাসরি প্রশ্ন করারে বরং ভাল্লাগছে আমার। যেহেতু শরীর তথা সেক্স নিয়া আলাপ তো ট্যাবু! সেক্স যে শারীরবৃত্তীয় কাজকামগুলির
মদ্দে গুরুত্বপূর্ণ
একটা কাম, বা মানসিক দিক থাকিও এর সমান গুরুত্ব রইছে, এই নিয়া তো খোলামেলা আলাপ করতে দেখবেন না কাউরে। ভাবটা এমন যে, এইটা এগজিস্ট করে না। বা করলেও কেবল এবং কেবলমাত্র গত্তে করতে পারে! তারে উপরে টানি আনা যাবে না। তো আমার তরফে যা কইবার, কইলাম তারে। পরে দিনাজপুর থাকি আসার পথে এই প্রসঙ্গেই আলাপ তুলি। ওগুলি খুচরা আকারে আছিলো। এইখানে কিছুটা গুছায় আলাপটা রাখতেছি। সাথে বিয়া, সন্তান বা পরিবার ইত্যাদি নিয়াও আলাপ করবো।
ধরেন, আপনে সিদ্ধান্ত নিলেন যে বিয়ায় যাবেন না। তাই বলি কামবর্জিতও থাকতে চান না। মানে, নিষ্কাম সাধু/নান'র জীবনও আপনে যাপন করতে চান না। এই অবস্থায় আপনের হাতে কী কী অপশন আছে এই দেশে? অর্থাৎ নিজের হাত আর আঙুল, তথা স্বমৈথুন, বাদে বিয়ায় অনাগ্রহী নারী-পুরুষের লাগি সেক্সের ব্যবস্থাদি এইদেশে কীরকম?এইখানে বিয়ারে সেক্সের লাগি সব থাকি অ্যাকসেপ্টেড, নিশ্চিত ও নিরাপদ অপশন হিশাবে নিয়াই অন্য অপশনগুলি দেখবো আমরা।
• পয়লা অপশন : সেক্স অ্যাজ আ কমোডিটি/সার্ভিস
সেক্সরে পণ্য বা সেবা হিশাবে দ্যাখা যাইতে পারে। এইটা নোতুন কিছু না। বহু প্রাচীন, চর্চিত ব্যাপার। যেহেতু সেক্স দরকার, টেকা আছে, অতএব কিনি নেও। মামলা খতম। এই হইলো সরল হিশাব। সেইক্ষেত্রে
এইদেশে প্রস্টিটিউশনের
অবস্থা কীরকম? ব্রথেল-ট্রথেল আছে? বা এসকর্ট সার্ভিস? মানে, যেইখানে আইনি বা অন্য ঝামেলা নাই। ধর্মীয় বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিই
বা ক্যামোন?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজা যাউক। আমার জানা মতে, দেশের দুই-চাইরটা ব্রথেল আছে। এর অধিক নাই। (রাজবাড়ির দৌলতদিয়া বাদে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারের কথা জানতাম। অইটা আছে? ঢাকার কান্দুপট্টি না কোনখানেরটা তো নাই-ই। খোদ রাজধানীতেই ব্রথেল নাই। আয়হায়! এর বাইরে টাঙ্গাইলের নাম শুনছিলাম। আছে? রংপুরে ইস্টিশনের পাশে পট্টি আছে হাওয়াই কথা শুনছিলাম বহু বছর আগে। আই রিয়ালি ডোন্নো মাচ অ্যাবাউট ব্রথেলস। নারীকুলের লাগি তো এই অপশনই নাই। মানে, ব্রথেলের। কখনো আছিলো? সো স্যাড! গ্রামদেশে ব্রথেলের ব্যাপারই নাই। এলাকায় দুই-একজন প্রস্টিটিউটরে জানতাম। ব্যস। এর বাইরে যা সব শহরে আছে তা হইলো—ভাসমান ব্যবস্থা। ধরেন, রাইতের পার্ক, রাস্তায় আপনে যা যা দ্যাখেন। এবং নানান ধরনের হোটেলগুলিতে সেক্সের ব্যবস্থা। বা কলগার্ল। যেগুলি মূলত অবৈধ। মাঝেমদ্দেই, পত্রিকায় হোটেলে রেইডের সংবাদ, মুখ ঢাকার চেষ্টারত নারীপুরুষের মুখ সমেত, দেখি অভ্যস্ত আমরা। প্রস্টিটিউশন নিয়া আইনগত ঝামেলা-টামেলা আছে। যেই কারণে এইসব রেইড চলে। এসকর্ট সার্ভিসের কথা শুনি বটে, তা সেইগুলি মেবি আমআদমির লাগি এভেইলেবল না। বা প্রকাশ্যও না। আন্ডারগ্রাউন্ডের
ব্যাপার।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হইলো, এই অপশন আপনে নারী হইলে মোটামুটি প্রযোজ্য নহে; এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। আপনে ব্রথেলগামী, টেকা দিয়া সেক্স কেনেন, এইটারে সমাজ বা ধর্ম ক্যামনে নেবে, সেগুলি বোধহয় আর কইতে হবে না। ইনাদের বাদ্দ্যান, বন্ধুদেরই কইয়া রিয়্যাকশন দেইখেন। ফলে এই ব্যাপার নিয়া বরাবর আপনেরে, নারী হইলে তো কথাই নাই, হীনম্মন্যতায় ভুগতে হবে। সে আবার আরেক ক্যাচাল। আমার শতেক বন্ধুমদ্দে একজনরে মাত্র পাইছি যিনি ব্রথেলে যান এবং সেইটা নিয়া হীনম্মন্যতায় ভোগেন না। এই হইলো অবস্থা।
• দ্বিতীয় অপশন : ক্যাসুয়াল/মিউচুয়াল সেক্স
আপনার দরকার, আরেকজনেরও দরকার। মানে, আপনেরা দুইজনই ব্যাপারটারে চাইতেছেন। সেইটা প্লেজার পারপাসেও হইতে পারে। লং-টার্মে না। সেইক্ষেত্রে
অবস্থা কীরকম? সার্বিক বিবেচনায়।
এই ব্যাপারে আপনে প্রেমিক বা প্রেমিকারে পাবেন পাশে। বা বন্ধুরেও। মানে, ফ্রেন্ড উইথ বেনিফিটস হইলে আর কি!
কিন্তু সমস্যা এইখানেও রইছে। প্রথমত, এই দেশে, সোসাইটিতে বিয়ার দাপট প্রবল। ফলে বিয়ার বাইরে সেক্স এভেইলেবলই কম। যদিও বা আপনের পার্টনাররে পান, মানে বিয়া ছাড়াও সেক্সের সম্ভাবনা তৈয়ার হইলো, কিন্তু সেইটাও বিয়ার প্রিকন্ডিশন হিশাবে ধরি নেওয়া হয় সাধারণত। যেকারণে মিউচুয়াল সেক্সরে পরবর্তীতে রেইপ আকারে হাজির করি লিগ্যাল স্টেপ সহ বিচিত্রমুখী হাউকাউয়ের মদ্দে টানি ফেলা হয়। যার ফলে ক্লিয়ার আলাপে পার্টনার পাইবার চান্স খুবই কম। এরকম অনেস্ট, এবং ব্রেইভ, পার্টনার পাইলেন মানে আপনে যথেষ্ট লাকি।
দ্বিতীয়ত, সেক্সটা করবেন কই? আপনে পরিবার/চেনাজানার ভিতরে থাকি নিজ বাসস্থান/জায়গায় করতে পারবেন না। গ্রহণযোগ্যতা নাই। লিটনের ফ্ল্যাট/মেস খুঁজতে হবে। প্যারার কাম। টেনশনেরও। কারণ, ফ্ল্যাট/মেস-এ হাজির হইতে পারে বা গলিতে পথ আগলাইতে পারে নীতিবাদী পাড়াল/গুণ্ডাগণে। অসামাজিক কর্মে লিপ্ত আছেন কইয়া আপনার হাড্ডি গুঁড়া করতে রেডি থাকবে তারা। হইতে পারেন চান্দাবাজির শিকার। বোনাস হিশাবে। এমনকি তারা আপনেরে (আপনে পুরুষ হইলে) ব্ল্যাকমেইল করি আপনার পার্টনাররে রেইপ করতেও পারে। সিনে হাজির হইতে পারে পুলিশ। মোটা অংকের ঘুষ আদায়ে ব্যর্থ হইলে প্রস্টিটিউশনের মামলা দেবে। দোররার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম থাকলেও বাতিল করা যাবে না। গ্রামদেশে হইতে পারে সালিশ। জরিমানার টেকা নিয়া গোস্ত কিনি ফেরত যাবে দেওয়ানিরা। আপনের গালে থাকবে তাদের পাঁচ আঙুলের প্রিন্ট। উফফ। এইসব ভাবনা নিয়া সেক্স করতে গেলে দাঁড়াবে/ভিজবেই না; উপভোগ দূরস্থান!
• তৃতীয় অপশন : লিভইন
আপনার প্রেম আছে, অথবা নাই, কামও চান। সম্পর্করে লং-টার্মে নিতেছেন। একছাদের তলেও থাকতে চান। দাম্পত্য-ই, বিয়ার বাধ্যবাধকতা
ছাড়া। সেইক্ষেত্রে
লিভইন ভালো অপশন। পার্মানেন্ট পার্টনার থাকলো। আবার যাপনের যৌথতাও! সুখ-দুখ, আপদ-বিপদ ইত্যাদির ভাগাভাগিও! চাইলে সন্তানাদিও নিলেন। খুবই ভালো ব্যাপার।কিন্তু মুশকিল হইলো আপনের পরিবার ছাড়তে হবে। সোসাইটিতেও গ্রহণযোগ্যতা যে নাই, সে আর বলতে। ওয়েল, পরিবার বা সোসাইটির মায়া ছাড়লেন না-হয়। বাসা পাইবেন? গ্রাম বা মফস্বলে তো লিভইন করবার চিন্তাও করতে পারবেন না, বড়ো শহরগুলিতেই কোনও বাড়িওয়ালাই বাসা ভাড়া দেবেন না জানিশুনি। আপনেরে কবুল করতে হবে যে, আপনে/রা বিবাহিত। ক্ষেত্রবিশেষে
যোগাড় রাখতে হবে ভুয়া কাবিননামা/রেজিস্ট্রেশন পেপার। হিপোক্রিসি ভিন্ন পথ নাই। পশ এরিয়াতে মেবি এইসব হবে না। তবে আমার ধারণা, সেইখানেও ব্যাপারটা লিক করলে ফ্ল্যাটওনার্স সমিতি মিটিং কল করি আপনেরে কবে, আমরা ফ্যামিলি নিয়া থাকি ইত্যাদি ইত্যাদি! অর্থাৎ প্রস্টিটিউশনের অধিক মর্যাদা আপনের লিভইন পাবে না যে বলাই বাহুল্য। ইটস টাফ! ভেরি ভেরি টাফ, ম্যান! ইফ ইউ আর নট ম্যারেড দেন সেক্স ইজ নট এভেইলেবল ফর ইউ। কেবল বিয়াধর্মের ফলোয়ার দিগের লাগি সেক্সমেওয়াটি! প্রশ্ন হইলো, বিয়াধর্মের ফলোয়ার না-হইলে আপনার যৌনজীবন কতোটা সহজ/স্বাভাবিক থাকে? উত্তরটা আপনে জানেন।
এখন আমরা একটা সিন্ডিকেট নিয়া আলাপ করবো। এর নাম সেক্স-সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট কারা? বিয়া ছাড়া সেক্স নিয়া যে জুলুমত চালু আছে বিয়াধর্মবাদী সমাজ-ধর্ম-রাষ্ট্রের তরফে ইনারাই সেক্স-সিন্ডিকেট। ইনাদের কব্জায় থাকবে সেক্স। আপনে বিয়ার মদ্দে দিয়া ইনাদের থাকি সেক্স ক্রয় করবেন। মূল্য কী? চড়া মূল্য। আপনের সাবমিশন। টোটাল সাবমিশন টু দেয়ার ডুস এন ডোন্টস। এর বাইরে আছে আপনেরে ঘাড় ধরি লাইনে নেবার চতুর ফন্দি।প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে কেবল বিয়ার মদ্দে দিয়াই সেক্সের বৈধতা দিয়া তারা আপনেরে বিয়ার কন্ডিশনগুলিরে—সেগুলি কী কী, আপনে জানেন—মানতে বাধ্য করে। আপসে আপ আপনে উনাদের লাইনে চলি আসবেন তখন। নাইলে কে কারে চুদবে, এই নিয়া এতো মাথাব্যথা ক্যান!
আপনে জানেন বা না-জানেন, এই সিন্ডিকেট ঠিকই জানেন সেক্স গুরুত্বপূর্ণ। খিদা হইলো আপনের বড়ো দুর্বলতা। আপনেরে মোটামুটি তিনদিন হাংরি—এইবেলা সেইটা জনমভর—রাখলে আপনেরে দিয়া যা খুশি করায় নিতে পারা যাবে, এইটা নিশ্চিত। সেইটা যৌনখিদার বেলায়ও সমান সত্যি। সেক্স-সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য এই খিদারে ক্যাপিটাল করি আপনের কন্ট্রোল নেওয়া। সেইজন্যই উনারা বিয়ার বাদে সেক্সরে আনএভেলেবল/পানিশেবল—পানিশমেন্ট শেইমিং/মাইরপিট/অর্থদণ্ড থাকি শুরু করি মৃত্যদণ্ড পর্যন্ত হইতে পারে— শরীয়াহ চালু থাকলে টের পাইতেন—করি রাখেন। এইবারে এই সেক্স-সিন্ডিকেটের
নিজেদের ভিতরে নিজেদেরে মান্যতার ধরণটা বোঝেন। এইখানে এনগেজড তিন পক্ষ : রাষ্ট্র, ধর্ম এবং সমাজ। তো—
• রাষ্ট্র আপনারে সেক্সের বৈধতা ব্যাপারে রেজিস্ট্রেশন দিতে চায়। বা চায়ও না। যথা অ্যাডাল্টের
মিউচুয়াল সেক্সে তার আপত্তি নাই। অ্যাডাল্ট্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া। এইক্ষেত্রে তার কনসার্নগুলি ধর্ম বা সমাজরে নিয়া মোটেই নাই বলা যায়।
• ধর্ম রাষ্ট্রের রেজিস্ট্রেশন নিয়া চিন্তিত না। সে কলেমা-মন্ত্র দিতে পারলেই সেক্সের বৈধতা দেবে। মিষ্টি-পোলাও খাওয়া সমাজরে নিয়াও তার মাথাব্যথা নাই।
• সেক্সের বৈধতা বাবদে সমাজ রাষ্ট্রের চাইতে ধর্মরে মান্যতা দ্যায়, মানে রেজিস্ট্রেশনহীনতা বা মাইনরে তার আপত্তি নাই। আর অল্প-স্বল্প মিষ্টি-পোলাও খাইতে চায়। এই পর্যন্তই। আপনে মুখে ডিক্লারেশন/স্বীকারোক্তি
দিলেই চলে যে আপনে/রা বিবাহিত। মানে, তারা কলেমা-মন্ত্র পাঠের ভিডিও বা বিয়ার রেজিস্ট্রেশনের কপি দেখতে চাইবে না। অন্তত চার্জ করবে না।
এদের যেকোনো এক/একাধিক/সব পক্ষরেই আপনে আঙুল দ্যাখাইতে পারবেন। এবং সেক্সে ইনভলভড হইতে পারবেন। কেবল হিপোক্রেট হইতে হবে, এই যা। যেহেতু এই সিন্ডিকেট মেম্বারসও হিপোক্রেটস, আপনে হিপোক্রেট হইয়া ওঠেন মানে তাদেরে মান্য করিই তা হইয়া ওঠেন। আপনের ওপর তাদের হাতের ছড়ির ঘুর্ণন বহাল থাকে।খেয়াল করছেন হয়তো বিয়ারে ধর্ম হিশাবে উল্লেখ করছি আমি। এর মোল্লা-পুরোহিত তিনপক্ষরেও নির্দিষ্ট করছি।বিয়াধর্মটি ক্যামোন?
যেই ব্যবস্থাতে বিয়াধর্মের ফলোয়াররেই কেবল সেক্স করবার অনুমোদন দ্যায়, অন্যদের ওপর জুলুম করে, সেই ব্যবস্থায় বিয়াধর্মরে সেক্সমূলক ধর্ম হিশাবেই দ্যাখেন। যদিও, সাধারণ্যে, বিয়ারে পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটির গোড়াপত্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশন হিশাবে দ্যাখা হয়। একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন যে, পরিবার হইতেছে রাষ্ট্র, ধর্ম এবং সমাজের তরফে আপনেরে লাইনে রাখবার, তাদের মনপছন্দ করি নার্চার করবার সব থাকি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
ফলে, অই তিন মাতব্বরই পরিবাররে টিকায়া রাখতে অতীব আগ্রহী। যেহেতু ব্যক্তিরে সত্তা হিশাবে স্বীকার করি নিজেদের পায়ে কুড়াল মারবার বিপদ উনারা কখনোই আলিঙ্গন করতে চাইবেন না। ফলে, বিয়াধর্মরে উনারা অতি পবিত্র গণনা করবেন বলাইবাহুল্য।
বিয়াধর্ম পালন করি গড়া পরিবার পূণ্যভূমি বাবদে কয়েকটি উপযোগিতার কথা জানি আমরা। যে—
১. ইহা সন্তান উৎপাদন করে। (বিয়া ছাড়াও সন্তান উৎপাদন চালায় নেওয়া অসম্ভব কিছু না। কিন্তু খেয়াল কইরেন যে বিয়াবহির্ভুত আপনের পেয়ারের সন্তানরে উনারা জাউরা ডাকবেন।)
২. ইহা সম্পদের ফয়সালার নিমিত্তে জরুরি। (সম্পদ আপনের। আপনের ইচ্ছা মতো খরচ-বিনিময়-অর্পণ করবেন। এইখানেও উনাদের মাতব্বরি করা লাগবেই।)
৩. ইহা লালন-প্রতিপালন করে। (খেয়াল করেন, এইবেলা কোনও সুমুন্দি নাই। থাকে, পরিবার শুধু পরিবার। ট্যাক্সভ্যাটখোর রাষ্ট্র আপনের শিশুর বা বুড়া আপনের দায়িত্ব নিতে নারাজ। তার প্রাণের চাওয়া আপনের বোঝা আপনেই টানেন। মাতব্বরিতে উস্তাদ সমাজের কথা বাদই দ্যান। ফলে, পরিবার রাখতেই হবে।)
বিয়াধর্মের ফলোয়ার না মানে আপনে মাইনরিটি। আপনের ওপর, যেকোনো মাইনরিটির বেলা যা হয় আর কি, জুলুম সিদ্ধ। যতো প্রকারে তা করা যায় তার সকল ব্যবস্থাদি আপনে মজুদ পাইবেন। জুলুমের বিয়াধর্মের বিপক্ষে আমার অবস্থান থাকলো। আপনের?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন