অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে রংপুরের কবি তামান্না লোহানী ছোঁয়া'র প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'এক কৃষ্ণতিথির অপেক্ষায়'। বইটি প্রকাশ করেছে চৈতন্য প্রকাশনী (স্টল নম্বর : ৬৩৪-৬৩৫)। 'বাংলার মুখ'র সঙ্গে একান্ত আলাপচারীতায় আজকের আয়োজন।
● এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'এক কৃষ্ণতিথির অপেক্ষায়' প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম প্রকাশের অনুভূতি বলুন।
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : অনুভূতিটা প্রকাশ করা আমার জন্য বেশ কঠিন। শুধু বলব, আমার ভীষণতর কষ্টের অনুভব গুলো এ বইটির প্রতিটি পাতায় রচিত আছে। আমার অন্তঃপটের বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে 'এক কৃষ্ণতিথির অপেক্ষায়'।
● আচ্ছা, আপনার কাব্যগ্রন্থের সামগ্রিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি কিছু জানতে চাই...
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : সামগ্রিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে বলতে বললে ঠিক এভাবে ব্যাখ্যা করবো, আমার বইটি একটা ছোট্ট গোলাপ গাছ সম। যাতে কাঁটা আছে, আছে পাতা, কলি ও সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপও। সাথে সৌরভ। অর্থাৎ আধুনিক যুগ, বাস্তবতা, স্বাধীনতার বর্তমান প্রেক্ষাপট, প্রেম, কষ্ট সবকিছুই আছে বইটিতে।
আমি আমার মত চেষ্টা করেছি। তবে কি, গোলাপ প্রত্যেকের পছন্দের তালিকাকৃত নাও হতে পারে।
● গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের মতো সাহিত্যের দারুণ কিছু শাখা বর্তমান। কিন্তু আপনার কবিতায় মনোনিবেশ কেন?
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : কেননা আমি কবিতা ভালোবাসি। তাই বলে যে গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের প্রতি অনিহা আছে তা নয়। কিন্তু ভালোবাসার জায়গাটা বরাবরই প্রাধান্যপূর্ণ।
● যেকোনো লেখকের ক্ষেত্রেই প্রথম প্রকাশে পাঠক প্রিয়তা পাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ বটে। তারপরেও এখন পর্যন্ত ফলাফল কীরূপ?
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : খুব একটা খারাপ নয়। বেশ ভালোই বলা চলে। সত্যি বলতে, সহজলভ্য জিনিস গুলোর স্থায়িত্ব খুব দীর্ঘতর হয় না। তাই আমি পাঠক প্রিয়তা সময় সাপেক্ষেই অর্জন করতে চাই। ধৈর্য আমার নেহাত কম না।
● একটু পিছনে তাকাতে চাচ্ছি। কবিতা লেখার শুরু, তারপর হেঁটে হেঁটে প্রথম কাব্যগ্রন্থ পাঠকের হাতে। উঠে আসার গল্পটা শুনতে চাই।
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : লেখার শুরুটা বলতে গেলে বলবো, এটাও মহাবিশ্বের বিস্ফোরনের মত! শুরুর ঠিকঠাক সময়টা নির্ধারণ করা মুশকিল। তবে মনে আছে দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম পাঁচ লাইনের একটি ছড়া লিখেছিলাম। মা শুনে বিশ্বাস করেনি ওটা আমি লিখেছি। তারপর বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন, আঞ্চলিক পত্রিকা, বিভিন্ন মাসিক পত্রিকায় লেখা শুরু করি। অনেকেই পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন। এরপর ২০১৫ তে চট্টগ্রামের দৈনিক খবরিকা, আজাদি ও কালেরকন্ঠের সম্মিলিত এক অনুষ্ঠানে কবিতার জন্য নির্মোলেন্দু গুণদার হাত থেকে গুণিজন সম্মাননা এবং ক্রেস্ট গ্রহণ করি। তারপর চৈতন্য প্রকাশনীর রাজীব দা হঠাৎ বই বের করার প্রস্তাব দিয়ে বসেন, আমিও রাজি হয়ে যাই। এটাই উঠে আসার গল্প। খুব ছোট্ট, কিন্তু আমার জন্য দুর্গম ছিলো বেশ।
● আপনার সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার নির্মাণ এগিয়ে যাক। শুভ কামনা। ভালো থাকুন।
তামান্না লোহানী ছোঁয়া : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন