বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

শ্রাবণ বাঙালী : তিনটি কবিতা



১.
সোনালী স্বপ্ন

এক কালো বিভৎস অন্ধকার
নিয়েছিলো জীবন আমার
আমিও মানুষ একজন
ভুলেই গিয়েছিলাম তমসায়!

অসম্ভব অনুভূতিহীন ছিলো মন
জীবনের পরতে পরতে দুঃখ নেশার ঘোর
নষ্ট জীবনে ছিলাম বিভোর
হৃদয়ে যত কষ্ট বিলাসী স্বপ্ন
চুরমার করে দিলে সে রত্ন।

যে ভালোবাসা বাঁধে শরীর মনে বাঁধন
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ সাধন
ভালোবাসা তুমিই তো দেখালে বসুন্ধরার
চিত্ত স্পর্শে করালে শপথ।
দেখালে পথ, জীবন, সোনালী রোদ্দুর, ছায়া
প্রাণে পূর্ণ হয়ে থেকো, না হয়ে কায়া
তা হলে দেখবে অস্থির ত্রিবেদী
পৃথিবী হবে চিত্ত বলির বেদী।


২.
পূর্বাভাস আভা

গতকাল তোমার চোখে নদী ছিল
দু’চোখের কার্নিশে চড়ই বাসা
দু’ফোঁটা তপ্ত অশ্রু গড়ালো।
তোমার এলো কেশ মৃদু বাতাসে
সদ্য ভেজা দু’টো কাক উড়ে গেল
কালো মেঘের মতো আসমানীর ঘর।

ধেয়ে আসে চলে যায় 
ট্রেনে কান্নার হুইসেল, গন্তব্য নতুন স্টেশন
সময়ের মেঘ বলে যায় ঝড়ের পূর্বাভাস।


৩.
দাইচি হৃদয়ের কথোপকথন

সমুদ্র যতই গভীর হয়
দুঃখ ততই বেশি; দু’কুল ফেনায় ছাপিয়ে যায়।
ভালোবাসার বন্যার পলিতে নগর গড়েছিলাম
ভূমিকম্প ফুকুশিমার মতো ধ্বংস হৃদয় নগর
দাইচি করে দিলে হঠাৎ করে।

বাসর করিনি দুঃখের সুনামিতে যদি ভেসে যায়
এতো সমৃদ্ধ হৃদয়ে শুধুই হাহাকার
সমুদ্রের ফেনা দু’চোখে আমার।
হৃদয়ের বন্দরে ফিরবে কি তরী তোমার?

বুকে যার ভয়ঙ্কর জলচ্ছ্বাস ধ্বংসের উম্মাদনা ধরনীর ত্রাস
তারই বুকে উদ্দাম নৃত্য ভালোবাসার উচ্ছ্বাস।


©লেখক : শ্রাবণ বাঙালী, রংপুর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন