রহিমা আক্তার মৌ
তিনি একজন মা, একজন শিক্ষক, একজন বন্ধু, একজন অভিভাবক। তিনি সবার চেয়ে আলাদা। একেবারেই আলাদা। তিনি একজন কলম সৈনিক।
প্রশ্ন করতে পারে কেউ—
তিনি কি কবি?
তিনি কি গল্পকার?
তিনি কি ফিচার লেখক?
তিনি কি উপন্যাসিক?
তিনি কি চিঠি লিখতেন?
এমন অনেক প্রশ্নের জবাব শুধু একটাই। তিনি একজন কলম সৈনিক। যদি কেউ বলে উনার সম্পর্কে কয়েকটি লাইন লিখতে। আমি শুধু একটি লাইন লিখব। লিখব— তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। এই মানুষটি সম্পর্কে আর কিচ্ছু লিখতে হবে না। লেখার প্রয়োজন হবে না।
১৯৫৫ সালে নরসিংদী জেলার মনোহর্দী উপজেলার একদুয়ারি ইউনিয়নের সৈয়দ পুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কর্মজীবনে নিষ্ঠার সাথে জাতির শিক্ষার বীজ বুনে ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। নিষ্পাপ শিশুদেয় মাঝে কাজ করে তিনি আনন্দ পেতেন। তাঁর কাছে শ্রেণিকক্ষ ছিলো আনন্দ নিকেতন। তাঁর হাতে গড়া অনেক শিক্ষার্থী এখন সফলতার সাথে দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করছেন। বিষয়টি ছিলো তাঁর কাছে অহংকারের। দিন রাত অনেক পরিশ্রমের মাঝেও তিনি কাগজ কলম নিয়ে বসতেন। লিখতেন একান্ত মনের অব্যক্ত কথামালা। পত্রিকার পাতায় পাতায় ছিলো তাঁর লেখা।
গত ৭ আগষ্ট, ২০১৬ রাত ৯ টায় তিনি প্রচন্ড পেট ব্যাথা অনুভব করেন। রাত ১২ টায় তিনি মারা যান। তাঁর প্রথম জানাজা হয় ৩৫ বছরের কর্মরত স্কুল হামিদ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাখালী, ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে ২য় জানাজার পর তাকে বাবার কবরের পাশে সমাধি করা হবে বলে পরিবার থেকে জানায়। মৃত্যুকালে তিনি একমেয়ে ও একছেলে রেখে যান। মেয়ে মদিনার কোলে আছে ৩ সন্তান। এই ৩ নাতি-নাতনী ছিলো সুফিয়া জামানের আনন্দের পুরোটা। আজ থেকে অনেক বছর আগে সুফিয়া জামান তাঁর প্রথম পুত্র সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন; সে নিখোঁজ হয়ে যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকেছেন।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাকে সই বলতাম। তার জীবনের অনেক না বলা কথা উনি আমার সাথে বলেছেন। আজ তাঁকে নিয়ে লিখব আমি ভাবতে পারিনি। আমার প্রায় প্রতিটি লেখার সাথে উনার একটা মতামত থাকত।
উনার প্রকাশিত লেখার সংখ্যা অনেক। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ 'হিমেল অনল'। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় 'হারিয়ে যেতেও সঙ্গী লাগে', এটি চিঠির বই। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস 'সব হারিয়ে তোমায় পেলাম'।
অবসর সময় বলতে তাঁর খুব কমই ছিলো। একজন মা, একজন অভিভাবক -এর দায়িত্ব পালন করে যেটুকু সময় পেতেন তিনি বই পড়তেন। নিঃসঙ্গ এই মানুষটির সঙ্গী ছিলো বই, কাগজ, কলম।
সুফিয়া জামান (১৯৫৫-২০১৬) |
তিনি একজন মা, একজন শিক্ষক, একজন বন্ধু, একজন অভিভাবক। তিনি সবার চেয়ে আলাদা। একেবারেই আলাদা। তিনি একজন কলম সৈনিক।
প্রশ্ন করতে পারে কেউ—
তিনি কি কবি?
তিনি কি গল্পকার?
তিনি কি ফিচার লেখক?
তিনি কি উপন্যাসিক?
তিনি কি চিঠি লিখতেন?
এমন অনেক প্রশ্নের জবাব শুধু একটাই। তিনি একজন কলম সৈনিক। যদি কেউ বলে উনার সম্পর্কে কয়েকটি লাইন লিখতে। আমি শুধু একটি লাইন লিখব। লিখব— তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। এই মানুষটি সম্পর্কে আর কিচ্ছু লিখতে হবে না। লেখার প্রয়োজন হবে না।
১৯৫৫ সালে নরসিংদী জেলার মনোহর্দী উপজেলার একদুয়ারি ইউনিয়নের সৈয়দ পুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। কর্মজীবনে নিষ্ঠার সাথে জাতির শিক্ষার বীজ বুনে ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে। নিষ্পাপ শিশুদেয় মাঝে কাজ করে তিনি আনন্দ পেতেন। তাঁর কাছে শ্রেণিকক্ষ ছিলো আনন্দ নিকেতন। তাঁর হাতে গড়া অনেক শিক্ষার্থী এখন সফলতার সাথে দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করছেন। বিষয়টি ছিলো তাঁর কাছে অহংকারের। দিন রাত অনেক পরিশ্রমের মাঝেও তিনি কাগজ কলম নিয়ে বসতেন। লিখতেন একান্ত মনের অব্যক্ত কথামালা। পত্রিকার পাতায় পাতায় ছিলো তাঁর লেখা।
গত ৭ আগষ্ট, ২০১৬ রাত ৯ টায় তিনি প্রচন্ড পেট ব্যাথা অনুভব করেন। রাত ১২ টায় তিনি মারা যান। তাঁর প্রথম জানাজা হয় ৩৫ বছরের কর্মরত স্কুল হামিদ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাখালী, ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে ২য় জানাজার পর তাকে বাবার কবরের পাশে সমাধি করা হবে বলে পরিবার থেকে জানায়। মৃত্যুকালে তিনি একমেয়ে ও একছেলে রেখে যান। মেয়ে মদিনার কোলে আছে ৩ সন্তান। এই ৩ নাতি-নাতনী ছিলো সুফিয়া জামানের আনন্দের পুরোটা। আজ থেকে অনেক বছর আগে সুফিয়া জামান তাঁর প্রথম পুত্র সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন; সে নিখোঁজ হয়ে যায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকেছেন।
গল্পগ্রন্থ : হিমেল অনল (২০১০) |
ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাকে সই বলতাম। তার জীবনের অনেক না বলা কথা উনি আমার সাথে বলেছেন। আজ তাঁকে নিয়ে লিখব আমি ভাবতে পারিনি। আমার প্রায় প্রতিটি লেখার সাথে উনার একটা মতামত থাকত।
চিঠি সংকলন : হারিয়ে যেতেও সঙ্গী লাগে (২০১৪) |
উনার প্রকাশিত লেখার সংখ্যা অনেক। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ 'হিমেল অনল'। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় 'হারিয়ে যেতেও সঙ্গী লাগে', এটি চিঠির বই। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস 'সব হারিয়ে তোমায় পেলাম'।
উপন্যাস : সব হারিয়ে তোমায় পেলাম (২০১৫) |
অবসর সময় বলতে তাঁর খুব কমই ছিলো। একজন মা, একজন অভিভাবক -এর দায়িত্ব পালন করে যেটুকু সময় পেতেন তিনি বই পড়তেন। নিঃসঙ্গ এই মানুষটির সঙ্গী ছিলো বই, কাগজ, কলম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন