♦
কাঁচভাঙা সময়
পুরুলেন্স চশমার ঠিক কাছেই
কাঁচের উপর লাগোয়া কামনা,
আনমনা দৃষ্টি ছোট হয়ে হয়ে
চোখের গভীর থেকে মস্তিষ্কবন্দী।
মন্দিরের ঘণ্টায় টং টং শব্দে
ঝুলে থাকা কাঁসর রঙ বদলায় রাতে।
নর্তকী ঘুঙুর তোলা পা'য় ঝমঝম
নৃত্যের সাথে সুধার পেয়ালায়
ঢেকুর তুলে তুলে খুঁজে পায়
চশমার কাঁচভাঙা শব্দ।
♦
কাঁটাতারে জীবন
কিছুক্ষণ আকাশে অপলক তাকিয়ে
স্বস্থির নিঃশ্বাসে শৈথিল্য সময় ছুড়ে দাও
শৈশবের বর্ণবোধ জাগা-নিদ্রার করতলে।
সন্ধ্যার হট্টগোল শুঁকে সময়ের মাছিরা
বিশ্বসের বকুল তুলে নিদারুন দৈন্যতায়
ঘষে তোলে রাত, হারিকেনের চিমনী থেকে।
শ্রান্ত পথের মাঝে দাঁড়িয়ে বজ্রবৃক্ষ
ডালিম ফোঁটা ভোরে মাপে ক্ষয়িষ্ণু আয়ুস্কাল,
দীর্ণ ঘাস শুকায় কড়েকড়ে পাপড়ভাজা দুপুরে।
নির্লিপ্ত হতাশার রঙ ঠুকরে খায় কাক
কিংশুক বিকেলে বাতাস ওড়ে রৌদ্রআঁচে
তৃঞ্চার স্বরণি ধরে চলে সাইকেলের ক্লান্ত চাকা।
♦
নতুবা শূন্যতা...
ঊমাচরণ নিক্তিতে মনের মাপজোক বুঝতে
চেষ্টা করছো অযথা, তার চে'
দাবার ছকে আঁকো জীবনের দীপ্রতা।
স্বপ্নীল সরোবরে জ্যান্ত শকুন, হরিয়াল
ক্লান্তির সন্তরণে চড়ুই-এর বাসার মধ্যে
অদৃশ্য হয়! জেগেরয় লোকালয়;
ব্যবচ্ছেদ হয় ঝিঁঝিঁ পোকার সতর্ক সঙ্গীতে।
দ্বিধার করুণ ধ্বনির নিশ্চয়তা জেনে
ইচ্ছেমৃত্যুর স্বপ্নে এসো না, অনুক্ত ব্যথার
লাবণ্য নিয়ে গাও গোধূলীর রাগে।
♣
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন