নয়ন আহমেদ'র কবিতা...


ধাতব বর্ণপাঠ



পাশ ফিরে শুয়ে আছে একাকী ভ্রূণবতী রাত;
চা পাতার ঘুম ছড়িয়ে পড়তে পারতো কোষে কোষে-
করোটিতে-
বিনম্র আগুন হয়ে; দোচালা ঘরের ছায়াচ্ছন্ন প্রাপ্তি হয়ে,
থরে থরে সমান্তরাল পৌরুষ হয়ে শিল্পের যমজ সেলাই।

দর্জির পরিমিত জ্যামিতিকে ছিন্নভিন্ন করে
জেগে ওঠে শূন্য ভিটার তীব্র পুরাণ;
বধির কালের পুজ-রক্তের ঢেউ।
এমন দুর্ভিক্ষ দিনে পরিচ্ছন্ন ঘামের জোয়ার আসবে না;
পোশাকের তড়িৎ প্রবাহে নামবে না
যাবতীয় চুম্বন ও চুমুক।
দীর্ঘজীবী ঘ্রাণ।
ও ধানখেত,তুমি ফিরে যাও বিকলাঙ্গ ক্রিম ক্রিম ব্যাপ্তি মেখে!
উড়ে আসছে খাটে ও শয্যায় মেশিন ঘরের বর্ণমালা।
আদর্শ ধাতব-বিদ্যা।
ফিরে যাও,ধানখেত,ফিরে যাও!
ফিরে যাও,হে আঙিনা!
মায়ের উঠোন ফিরে যাও!
ফিরে যাও ছোট্ট নদীটির ঢেউ,ফিরে যাও!

বাঘের চোখের মতো জ্বলে কাম, মোক্ষ; সর্বনাম।
প্রতিটি শববাহকের কাছে বার্তা পৌঁছে গেছে-
একটি প্রযোজিত চুম্বনের অপমৃত্যু হবে!
আহা, তোর অপঘাতে অবসান হবে
আয়ুর্বেদী ভোরবন্দনার!

আহা! ভ্রূণবতী রাত!


©লেখক : নয়ন আহমেদ, বরিশাল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন