কবি
দুবার তাকিয়েছি এই বিমূর্ষতায়
যখন শুয়ে থেকে মূক হয়ে থাকি
বধির হয়ে যাই কন্ঠে;
এই গানে যখন অনুশোচনায় থেকে যায় প্রতিটি ছাপ
আমি তখন বেঁচে উঠি
শ্মশানে কয়েকটি পাখি
এই সমুদ্রে বোসে থেকে দেখছি বিভিন্নতা
এক অখন্ড দৃশ্যাবলীতে সাজাই মানবজন্ম
বিশ্বাস থেকে যাই এই চশমা ভেঙ্গে দিয়ে
রক্তে ফিরে আসে প্রাচ্যের শপথ
ফুল ঝরিয়ে দেওয়া ভোর
এই চামড়ায় গেঁথে দিই অদৃশ্য সঙ্গম;
এক রাত
মূলত আমি নির্দয় হয়ে ব্যথিত এক অনুভূতির বিপক্ষে প্রতিবাদে যাই
মশাল হাতে গড়িয়ে দিই প্রেম;
এই জনশ্রুতিতে নির্বাসিত প্রার্থনা
আক্ষেপে আবৃত্তি মেলে স্মৃতি
তারপরও হেঁটে আসি
মূলত আমিই সেই কবি
যেকিনা নাবিক,এক বেদনাময় ভ্রমণের মাঝে চিৎকার কোরে উঠে
ভাবে-নরকের দরোজায় ছবি আঁকে
এক সুনিশ্চিত ভুলে
আমিই সেই কবি
যেকিনা প্রেমিকার হাত ধরে কবিতাকে স্পর্শে রাখে;
খুব জোয়ার এই মানবিক হাতে
বাষ্পীয় হয়ে যাওয়া রীতিতে
আমিই প্রথম কবি যেকিনা অনন্তকাল পুলসিরাত ভেবে আত্মহত্যা কোরে যায় পৃথিবীতে
০
সারোয়ার রাফি
কুমিল্লা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন