ক্যাফে
ইদানিং ক্যাফেতে বসলে চুমুকে ঘুম
নেমে আসে প্রাক্তন প্রেমিকার
চোখে।
উল্টে যাওয়া পেয়ালায় মিশ্রিত
ঘামের গন্ধ
টলটলে পায়ে নামে তীর্যক চোখ
নিয়ে।
আদিম কানালা দিয়ে ফরফরা বাতাস
দাঁত
কেলিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে
কাছাকাছি হৃদপিণ্ডের দূরতম
কেদারায়।
ইদানিং
মানুষের আনাগোনা দেখে মনে হয়
পৃথিবী একটা পানশালার ক্যাফে
হতে যাচ্ছে খুব
সিরিয়াস গতীতে।
যুগে যুগে বহু মালপুরুষ এসেছেন এখানে
নিজেদের অস্তিত্বের চারাগাছ
লাগাতে।
সময়ে দ্বর্থক যাতাকলে পড়ে শেষমেষ
সবাই অতলের গান লিখে গ্যাছেন
প্রবাহমান চোখ উল্টিয়ে। স্মিত দৃশ্যের
সংলাপ মাড়িয়ে হেঁটে আসা নবাগত
অতিথির পা গলিতে ভূতের ভয়ে
কাঁপে। ফ্রয়েডিক চোখেরা হিমযুগ
ভ্রমন শেষে
আরামে দাঁড়িয়ে থাকে মহাকালের
শ্মশানঘাটে।
কবুতরমার্কা যত বিশ্বস্ত বেলুন ঢেকর
ফেলে ফেটে যায় অসঙ্গায়িত
নিঃশ্বাস ফেলে। তথাপি___অগনিত
রাত নেমে আসে যাবতীয় অসারতা
কাঁধে নিয়ে।
হেন ফুরিয়ে গেলে চিরকালের গান
তুমি কাকে শোনাতে চাও হে ভাবুক
বাউল?
রক্ত পেয়ালায় সাদা মদ হয়ে জমে
থাকা
বিবেকের তরল ঢকঢক নেমে যায়
ঈশ্বরের গলা দিয়ে। লজিক্যাল চোখ
তুলে তাকালে অনায়াসে দ্যাখা
যায়
ঈশ্বর মাতাল হলে কীভাবে ঈশ্বরেরা
ফুর্তিবাজ হয়ে ওঠে
লোলুপ ইমেজে।
চুড়ান্ত ভোদাইগণ এসে পাশাপাশি
বসলে
তাদের চুপকথার উন্মাদনায় মদের
বোতলে জমে নির্লজ্জ রাত। তারপর
রূপকথার সেই নির্লজ্জ রাত ঘামতে
থাকে বিষাদের নদী বুকে ধরে।
বাতাস আক্রান্ত হয় বৃক্ষের প্রলোভনে
মানুষের আক্রান্ত স্বভাব বয়ে যায়
প্রবাহমান বেগে।
তিনটি ব্যক্তিগত অনুভূতি পোড়ালে
যে ধোঁয়া বের হয় তার ধোঁয়াটে
ইঙ্গিতে
ভেসে ওঠে একটি সরকারি আক্ষ্যেপ।
ক্যাফেতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে একদল
মেধামারা ভদ্রলোক গলাবাজি করে
দাস্ত্বের টোনা পড়ে।
হা...হা...কি উল্লাস দ্যাখো ___
নিতম্বে থাপ্পড় খাওয়া অবলা
মিডিয়ার
যেন অনিচ্ছের তন্দ্রাজালে
বেঘোরে মাতালিপনার দৃশ্যায়ন।
একটি রাজনৈতিক পাখি শিষ দিলে
দশটি আমপাখি 'জ্বী হুজুর' বোলে
পাখা ফেলে চলে আসে
কেবল কোকিল অন্যমনস্ক হয়ে খোঁজে
অন্যবসন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন