দুখাই রাজ'র কবিতা...


জার্নি



গতকাল ভোর থেকে সমুদ্রের তীর হয়ে জল ছুঁতে ছুটেছি। দৌড়েছি।
যতখানি দৌড়াই— জল ততখানি দূরে সরে যায়।
                         আরো দৌড়াই।
                         বেদম দৌড়াই।

সমুদ্রের নীল জল উজ্জ্বল সূর্যটার উপর যখন চড়ে বসছিলো খুব দুঃখ হচ্ছিল— ডানা নেই বলে।
মানুষের ডানা থাকার কথা ছিলো, পায়ের উপর নির্ভরশীল হতে গিয়ে উবে গ্যাছে সেই ডানা।
কতোবার চোখ গলে গেলে একটি সমুদ্র হতে পারতো— জানা নেই।
 
দৌড়াতে দৌড়াতে যখন জলের কাছে পৌঁছলাম— দেখলাম জলটুকু নীল নয়। অসম্ভব উজ্জ্বল কালো।
বিতৃষ্ণা হলো— সূর্যের উপর চড়ে যাওয়া জল দেখে,
এখানে তো কোন আলো নেই;
আলো ছাড়া প্রতিবিম্বের সত্য-মিথ্যে বিভেদ কী করে বুঝে নেব?
 
ঢেঙা জল যখন তার ওলান থেকে ফিনকি দিয়ে ঢেলে দেবে কিছুটা আলো,
দেখে নেব— কে থাকে জলের ভেতর?
বসে আছি।
 
সমুদ্রের ভেতর থেকে জল ছুঁয়ে উবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কোলাহলে
—একটি শীর্ণ কেয়া গাছ দেখতে পাই।
দেখতে পাই তার বিগত কয়েক শ বছর।
 
কাঁকড়ের সমাধিতে তখন— শোক প্রস্তাবে কিছু রাখতে হলে, হাতে কিছু থাকতে হয়।


©লেখক : দুখাই রাজ, ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন