নিষিদ্ধ স্বপ্নের দেশে
ক্রমাগত আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে তোমার আঁচল পুড়ে গেছে । পোড়া আঁচলের গন্ধে ভরে উঠছে আমাদের আশ্চর্য পিকনিক । নতুন ডিমের স্বপ্ন পাঁজরে লুকিয়ে, আহ্লাদে কাছে এসেছিল যারা, সেইসব পাখিরাও এখন উড়ে যাচ্ছে আমাদের বীজক্ষেত্র থেকে।
মানুষের অগণন ভিড়ে পৃথিবী নির্জন হয়ে আসে আরও। বনের ভিতরে পাতার আগুন ঘিরে গান গায় কতিপয় কুষ্ঠরোগী । আগুনের মাঝখানে ছুঁড়ে দেয় আঙুলের টুকরো । মানুষের মাংস-পোড়া গন্ধের ভিতরে খড়-কুটো দিয়ে ঘর বাঁধা হলো আমাদের । মধুচন্দ্রিমা হলো । বোবা কালা ছেলে-পুলে হলো । তাদের নুন-ভাত ও উচ্চকণ্ঠ মৈথুনের গল্প শোনা হলো ।
কিন্তু কেউ কি তোমাকে বলেছিল : এক হাজার পাখির মধ্যে নিশ্চুপ বসে থাকলে সমস্ত দুপুর জন্মান্তরের কথা মনে পড়ে ? হরিণের খুরের শব্দে বীজক্ষেত্রে বৃষ্টি নেমে আসে ? ধর্ষক-শূন্য পৃথিবীতে আমাদের প্রতিটি চুম্বনে প্রেমিকার বিনম্র বুকে জ্বলে ওঠে অলৌকিক আলো ? পাখিদের ওষ্ঠ থেকে ঝরে পড়া বীজ শতাব্দীর মন্বন্তর মুছে দিয়ে যায় ?
©লেখক : উত্তম দত্ত, ভারত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন