পেরেকে টাঙানো দিনপঞ্জিকা (২০১৯) । লেখক : আদিল ফকির । প্রচ্ছদ : মোস্তাফিজ কারিগর । প্রকাশক : মূর্ধাণ্য |
আমি সেই জানোয়ার, আমার ভেতর আমি এক হিংস্র বীজ বসবাস।মানুষ নামে মানুষ আমি সেই আশপাশ। ভেতর থেক ভেতরে আজ, ভেতর আমি অমানুষের সহবাস। একটা আমি যদি হতাম, গাঙ্গেয় ওই পাখি, সারাবিশ্ব হাসতো, খুলতো সুখ আখি। আমি আছি আমার মত, সৎ হাসে শতশত।অথচ আমি এক, সেই জানোয়ার, আজও মানুষ হতে পারলাম না। সব পাখি উড়ে যায়, আসে না কাছে, অমানুষের সবই ‘অ’, কেউ ছোটে না পিছে।
একটা দুঃখ
এক ট্রাক পাথর রাস্তায় থুবড়ে চাকা ভেঙে
পাথরের ভেতর পাথর অশ্রু ছাড়া এক কান্না
আশি বছরের বুড়ো বসে থাকা এক দুঃখ
খোলা আকাশে তাকিয়ে এক ভঙ্গিমা
অথচ দুচোখে এক ফোঁটা জল কামনা
আমাকে যাতার ভেতর দাও
জীবন বের হবার পূর্বে চোখে এক ফোঁটা জল চাই।
একটি ছবি
শেষরাত অথচ জিহ্বাকণ্ডূয়নের চঞ্চলমতি
কমলালেবুর দুফালায় দাঁড়িয়ে স্ট্রবেরি
যতভাবে যতবার ভাবা যায় এলাচ গন্ধ
অথচ জানালার দুইটি পর্দা দক্ষিণা বাতাস
দুই বুকে ডাউয়া ফলের রোয়া সাজানো
অবশেষে ফালা ফালা গ্রীষ্মের তরমুজ।
বসে থাকা একটা শীত
শীতকাল
বাসার ছাদে ঠিক দক্ষিণ কোণে—একটা ‘আমি’
ভালো না লাগা ‘আমি’—অথচ লিখছি একটা সুখ
টবের মাটি চেয়ে থাকা- তবে গাছটাতে একটা দুখ।
শীতকাল
আটসাঁট চাদর,বাড়িয়ে থাকা একটা হাত
অথচ নৃত্যে পরা ব্লাউজটা, নিত্য কল্পনায় চে’ থাকা
পাশের সুতা খুলে নেবে, দর্জিবাড়ির কথা...।
শীতকাল
কফির পেয়ালায় কফি, অথচ ধোঁয়া ছাড়া
সময়মত টেবিলে—আমি, আমি নাকি আনমনা
ঠাণ্ডা তো হবেই, দিন দিন প্রতিদিন একটা যাওয়া-আসা।
শীতকাল
তোমার ব্লেজারের এপাট-ওপাট, তুমি নাকি বসে থাকা
চলন্ত গাড়ির জানালায়—ক্ষণেক দেখা
অথচ টবের মাটি... ছিলো না- জল দেবার মানুষ।
শীতকাল
রাতদুপুর আমি, আমিকে ভাবি—অথচ শার্সির বুকে শীত
হলেও হতে পারতো—একটা কবিতা অথবা গীত
আর লেখা হলো না—গৃহিণীর দাঁত ব্যথা।
স্বাধীনতা
আমার একটা প্রেম আছে—কাঁদে এবং হাসে। আমার একটা কয়েন আছে—হারিয়ে যায় এবং খুঁজে পাওয়া যায়। আমার একটা আয়তকার আছে; তুমি চাইলেই মাঝে একটা বৃত্ত দিতে পারো।
০ লেখক: আদিল ফকির, রংপুর।
০ লেখক: আদিল ফকির, রংপুর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন