বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭

প্রশস্ত হোক আমাদের হাত, বেঁচে থাকুক একজন কবি

শ্বেতা শতাব্দী এষ। জন্ম ১২ই অঅক্টোবর, ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে জামালপুর সদরের বসাকপাড়ায়। পিতা জ্যোতিষ চন্দ্র এষ এবং মাতা ছবি এষ। পঁচিশ বছর বয়সী এই তরুণ কবির বড় বোন কবি মন্দিরা এষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর করেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে—'অনুসূর্যের গান' (২০১০),  'রোদের পথে ফেরা' (২০১৩), এবং 'বিপরীত দূরবীনে' (২০১৬)। এই তরুণ কবি এ বছর পেয়েছেন কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নামে প্রবর্তিত 'আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭'। এই সম্ভাবনাময় কবি দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাঁকে ভারতের ভেলোরো খ্রিস্টান মিশনারি হাসপাতালে যেতে বলেছেন। কবির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকা। 


আমরা মহামানবদের জন্ম জয়ন্তী এবং মৃত্যু বার্ষিকী খুব ঘটা করেই পালন করি। কিন্তু এসব দিবস পালন যতটা তাৎপর্যপূর্ণ, একটি সম্ভাবনাময় জীবন বাঁচিয়ে রাখা কি তার চেয়েও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ নয়? একজন মহামানবের মৃত্যুর পর আমরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মহাকালে হাঁটি আর আওড়াই—'ইশ্, যদি এমন হতো, তিনি হয়তো বেঁচে থাকতেন!' এই এমন হওয়াটা আমাদের মাধ্যমেই হতে পারে তো, নাকি?

কবি শ্বেতা শতাব্দী এষ প্রায় অচল হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষে এ বিশাল ব্যয় বহন করা অসম্ভব। মাত্র ত্রিশ লক্ষ টাকা আমাদের ষোলো কোটি মানুষের কাছে, আমাদের রাষ্ট্রের কাছে কিছুই না। কিন্তু শ্বেতা মেয়ে হিসেবে তাঁর মাতা-পিতার কাছে অনেক কিছু।

প্রথমত, আমরা মানুষ। মানুষ হয়ে একজন দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াবো, এটাই স্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, আমরা যাঁরা লেখক, প্রকাশক ও পাঠক। আমরা যাঁরা মানবতার জয় গান গাই। আমাদের হাত ধরে যেনো কবি শ্বেতা শতাব্দী এষ বেঁচে যায় এ যাত্রায়; এটা আমাদের দায়িত্ব বলেই গণ্য হচ্ছে। হয়তো আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ফিরে পেতে পারি তাঁর মহামূল্যবান জীবন, ফিরে পেতে পারি একজন সম্ভাবনাময় কবিকে।

আসুন, আমরা অন্তত লেখকরা, প্রকাশকরা এবং পাঠকরা একজন লেখকের জীবনকে তুচ্ছ করে না দেখি।


দৃষ্টি আকর্ষণ
ইতোমধ্যে সারাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের লেখক ও সংগঠন বিভিন্ন ভাবে এ বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন। আপনিও কি পারেন না?

'ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালি কণা, বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।'
___

শতাব্দী এষ, 
হিসাব নম্বর : ৩৪১২৬৬৩৬, 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কর্পোরেট শাখা, 
জনতা ব্যাংক লিমিটেড। 
বিকাশ নম্বর : ০১৯১৪-৮৬৭৬৮৭ (শ্বেতার ব্যক্তিগত নম্বর)।


1 টি মন্তব্য: