মাথার উপর
মাথার উপর চারকোণাচে ছাদ।
তার উপরে অপার অবসাদ।
মই বেয়ে সেই অবসাদে উঠি।
ধুয়ে তোলা কাপড় শুকাতেদি।
আবার সেসব বিষাদযুক্ত হবে,
আবার সেসব ধুতে হবে বলে।
তার উপরে অপার অবসাদ।
মই বেয়ে সেই অবসাদে উঠি।
ধুয়ে তোলা কাপড় শুকাতেদি।
আবার সেসব বিষাদযুক্ত হবে,
আবার সেসব ধুতে হবে বলে।
এই সন্ধ্যা
চুমু ও অপমানের মতো করে
এই সন্ধ্যা রয়ে যাবে বহুবিধ হয়ে,
একদিকে সূর্যাস্ত অন্যদিকে কফির পেয়ালা পড়ে র’বে;
যার যার পথ ধ’রে
অপরের বাড়ি ছুঁয়ে যত লোক হাঁটে-
প্রত্যেকে চেয়ে র’বে সন্ধ্যাটার দিকে।
এই সন্ধ্যা রয়ে যাবে বহুবিধ হয়ে,
একদিকে সূর্যাস্ত অন্যদিকে কফির পেয়ালা পড়ে র’বে;
যার যার পথ ধ’রে
অপরের বাড়ি ছুঁয়ে যত লোক হাঁটে-
প্রত্যেকে চেয়ে র’বে সন্ধ্যাটার দিকে।
সন্ধ্যার কোড়কজুড়ে স্তব্ধ পাখির মতো
একা একা আমি বসে র’বো।
একা একা আমি বসে র’বো।
একদিন ভোরবেলা
একদিন ভোরবেলা
মাঠের মধ্যে হেঁটে হেঁটে
আচমকা একা হয়ে যাবো।
মাঠের মধ্যে হেঁটে হেঁটে
আচমকা একা হয়ে যাবো।
বাড়ির লোকেরা দেখবে
বাড়িতে ফিরে এসেছি
হেসে হেসে বাজারে গেছি
তারপর ফিরে এসেছি,
দাঁত মেজে ভাত খেয়েছি
বাড়ির লোকেরা জানবে
আমি ভালোই বেঁচে আছি।
বাড়িতে ফিরে এসেছি
হেসে হেসে বাজারে গেছি
তারপর ফিরে এসেছি,
দাঁত মেজে ভাত খেয়েছি
বাড়ির লোকেরা জানবে
আমি ভালোই বেঁচে আছি।
পাড়ার লোকেরা জানবে,
তবু সেই ভোর হতে আমি
বেঁচে বেঁচে একা হয়ে র’বো।
তবু সেই ভোর হতে আমি
বেঁচে বেঁচে একা হয়ে র’বো।
হারানো চিঠিগুলো
হারানো চিঠিগুলো আজকাল কোথায় আছে?
পেটমোটা লাল ডাকবাক্সের কাছে ঘুরে ঘুরে
জিজ্ঞেস করি, তোমার পেটে যতগুলো
চিঠি ফেলেছিলাম, সবগুলো কোথায় দিয়েছ?
প্রতিটি চিঠির ভেতর যতগুলো বাক্য ছিল
বাক্যের ভেতরে যত কালো কালো শব্দ ছিল
তারও চেয়ে বেশি বেশি দিন আমি
তোমার লাল শরীরে ঘুরে ঘুরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
উত্তর খুঁজেছি, আমার চিঠিগুলো এখন কই?
পেটমোটা লাল ডাকবাক্সের কাছে ঘুরে ঘুরে
জিজ্ঞেস করি, তোমার পেটে যতগুলো
চিঠি ফেলেছিলাম, সবগুলো কোথায় দিয়েছ?
প্রতিটি চিঠির ভেতর যতগুলো বাক্য ছিল
বাক্যের ভেতরে যত কালো কালো শব্দ ছিল
তারও চেয়ে বেশি বেশি দিন আমি
তোমার লাল শরীরে ঘুরে ঘুরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
উত্তর খুঁজেছি, আমার চিঠিগুলো এখন কই?
কোথায় পাঠিয়েছ এতগুলো চিঠি,
যার একটারও উত্তর আসে নি?
যার একটারও উত্তর আসে নি?
তোমাকে দেখে যা ভেবেছি
তোমাকে দেখে কয়েক ছত্র বিষন্ন পদ্য লিখতে সাধ হয়েছিল
শেষ ট্রেন যেভাবে বাঁশির রাগিনী শহরে ছেড়ে দিয়ে যায়,
পুতুল হারিয়ে যেভাবে পা ছড়িয়ে পথের শিশু কেঁদে চলে
তোমাকে দেখে তেমনই একপ্রস্থ দুঃখ ছড়াতে চেয়েছিলাম-
শেষ ট্রেন যেভাবে বাঁশির রাগিনী শহরে ছেড়ে দিয়ে যায়,
পুতুল হারিয়ে যেভাবে পা ছড়িয়ে পথের শিশু কেঁদে চলে
তোমাকে দেখে তেমনই একপ্রস্থ দুঃখ ছড়াতে চেয়েছিলাম-
কেননা দুঃখের ভেতরই আমাদের পরিচয় ও হারিয়ে যাওয়া
দুঃখিত স্বরেই তোমাকে একদা ভালোবাসার কথা খুলে বলা
এবং গভীরতর এক দুঃখের সন্ধ্যায়ই তোমার চলে যাওয়া;
আমার দুঃখিত পদ্যগুলো তুমি বরাবরই বড় পছন্দ করতে।
দুঃখিত স্বরেই তোমাকে একদা ভালোবাসার কথা খুলে বলা
এবং গভীরতর এক দুঃখের সন্ধ্যায়ই তোমার চলে যাওয়া;
আমার দুঃখিত পদ্যগুলো তুমি বরাবরই বড় পছন্দ করতে।
আর পছন্দ করতে বলেই হুহু বাতাসের ভোরে শুরু করেছিলাম
শেষ হয় অন্য এক সন্ধ্যার ট্রেন চলে যাবার পরে, এই কবিতা।
__________________________________________
শেষ হয় অন্য এক সন্ধ্যার ট্রেন চলে যাবার পরে, এই কবিতা।
__________________________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন