বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৬

কালপুরুষ -এর কবিতা

অলৌকিক যিশু
ক্রমশ তোমার সঙ্গেই দ্যাখা হয়ে যায় আমার
(একদিন কী প্রতীক্ষা ছিল!) কেন হয়
আজকাল? আমি তো ভালোবাসি না আর;
আমার এখন একা একা একা সূর্যোদয়
দেখতে— আর রাতের বেলা
বিশ্বস্ত মারিজুয়ানা খেতে ভালো লাগে,
ভালোবাসার সঙ্গে প্রেম প্রেম খেলা
বহুদিন হয়েছে— এখন রক্তে বিপন্ন আলো জাগে,
গান গায়, ঘুমায়; আজ নিজের খুলি হাতে নিয়ে
বসে থাকি আমি, হাঁটি— পড়ি আবুল হাসান,
মায়াকোভস্কি; কখনো বা মসজিদের সামনে গিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকি, দেখি হুরের লোভে প্রাণ
কেমন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে মানুষের— দুঃখ পাই— হাসি;
তোমার কথা ভাবি, ভুলে যাই— কেন ভাবি? কী
প্রয়োজন ভুলে যাবার?
যা নেই তা নিয়ে বেঁচে থাকা কী যে বেদনার!
তবু থাকি; ধ্বংস হই ক্রমে— ভাবি, কেন ভালোবাসি?
মুহূর্ত কি ফুরিয়ে গ্যাছে সব? যায়? কোথায় যায়?
রয়েছে কি তার গোপন মেধাবী বুকের প্রেমিকা!
আমার নেই। ছিল। একদিন। আজ নেই। কেবল
দীর্ঘশ্বাস শোনা যায়—
করুণ। ভীষণ। বস্তুত এই থাকা আর না থাকা
বিষয়টা একই, যদি ঘুমের মধ্যে মরে যাওয়া যায়
যেহেতু আমরা জেনেছি মানুষ কাঁদতে ভালোবাসে রাত গভীর হ’লে
আর ব্যতিক্রম কেউ কেউ থাকে— একটি মেয়ে
যেমন কেঁদে নেয় রোজ সন্ধ্যায়
অর্থাৎ অন্ধকার স্থির হবার পূর্বে। কেন কাঁদে?
'একদিন জানা যাবে'— বোলে
উড়ে গেলো ঈশ্বর, প্রকৃত ঈশ্বরের কাছে;
আত্মহত্যা যদিও একটি আশ্চর্য শিল্প— আমরা জানি
সত্য যদিও তবু
ধর্ম এবং চিন্তার অর্থহীনতা নিয়ে ভাববার প্রয়োজন আছে
আরো কিছু কাল। হে আমার একলা প্রভু—
যারা সফল হতে চায়, বস্তুত সকলেই চায়;
আমিও কি তাদেরই মতো?
সাধারণ পুরুষ এক? চাই স্বাভাবিক সুখ; অসুখের ক্ষত
নিয়ে যাই প্রেয়সীর চিবুকের কাছে? কী লাভ সফলতায়!
আমার বরং রূপবতী বেশ্যার দালালের অধিকার
নিয়ে অপ্রস্তুত জানালায় ঘুমিয়ে পড়তে ভালো লাগে;
ভোরের দিকে তুলনামুলক স্থির যখন হয়ে আসে
শীৎকার—
নতুন কোনো কুমারীকে ধর্ষণের ইচ্ছে জাগে
যদি জন্ম হয় অলৌকিক যিশু

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন