মেনু

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

'ভালোবাসাগুলোকে কবিতায় বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি'

অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে রংপুরের তরুণ কবি বন্য পীতম'র প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঈশ্বর ও ভালোবাসাদের গল্প’। বইটি প্রকাশ করেছে শব্দশৈলী (স্টল নম্বর : ৩৫৭)। 'বাংলার মুখ'র সঙ্গে একান্ত আলাপচারীতায় আজকের আয়োজন।


● এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঈশ্বর ও ভালোবাসাদের গল্প' প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম প্রকাশের অনুভূতি বলুন।
বন্য পীতম : কিছু অনুভূতি সম্ভবত প্রকাশ সম্ভব হয় না অথবা আমি প্রকাশ-ই করতে জানি না। তবে এতটুকু বলবো,  কবিতারা তো সন্তানতুল্য... সন্তান ভূমিষ্ঠের এ অনুভূতি প্রকাশে অক্ষম যে আমি।

●আপনার কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোর সামগ্রিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন...
বন্য পীতম : সলে ঈশ্বর ও ভালোবাসা নিয়ে আমার অনুভূতি আর ভাবনা গুলো প্রকাশের চেষ্টা করেছি। জানি না কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি...। খুব প্রিয় সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আর জীবনের চলার পথে ভালোবাসাগুলোকে কবিতায় বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি, হয়তো খুব হাস্যকর সে চেষ্টা। 

● তা আপেক্ষিক বটে (হাসি)। কবিতা নির্মাণের অসংখ্য বিষয় আমাদের চারদিকে দৃশ্যমান। সমাজ-রাষ্ট্র, জীবন-প্রকৃতি প্রভৃতি এতো কিছু এড়িয়ে ঈশ্বরকে নিয়ে লিখলেন। কিন্তু কেন?
বন্য পীতম : শ্বরকে হয়তো একটু বেশিই ভালোবেসে ফেলেছি! 

● সুকৌশল উত্তর! যেকোনো লেখকের ক্ষেত্রেই প্রথম প্রকাশে পাঠক প্রিয়তা পাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন বটে। তারপরেও এখন পর্যন্ত ফলাফল কীরূপ?
বন্য পীতম : সলে বাস্তবতাটা একটু কঠিন-ই। খুব বেশি সাড়া হয়তো পাইনি, হয়তো পাবোও না। তবে আমার বৃত্তে দাঁড়িয়ে আমি বলবো, সবকিছু মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আর বইটা আজই(গতকাল) মেলায় এসেছে। তারপরও বেশ আগে থেকেই কেউ কেউ বইয়ের অপেক্ষায় আছেন। দুই-একজন বই নিয়ে ইনবক্সে ভালো লাগার কথাও বলেছেন। অনেকেই বই চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলবো, হ্যাঁ, আমি সন্তুষ্ট। 

● একটু পিছনে তাকাতে চাচ্ছি। কবিতা লেখার শুরু, তারপর হেঁটে হেঁটে প্রথম কাব্যগ্রন্থ পাঠকের হাতে। উঠে আসার গল্পটা শুনতে চাই।
বন্য পীতম : লেখার শুরু ছোট্ট বেলায়। কাজিন সাগর দাদা খুব চমৎকার লিখতেন, এখন আরও ভালো লেখেন। সেই প্রভাব এড়ানো অসম্ভব ছিলো। একটি কথা না বললেই নয়, ছোট বেলার সেই কাঁচা হাতের সেই লেখা খুব উৎসাহ নিয়ে পড়তেন আমার সেজো মামা(শাহ আহম্মেদ রাসেল আলম)। যেটা আমাকে প্রচণ্ড উৎসাহিত করেছে। বড় হয়ে জেনেছি আমার আম্মুও চমৎকার লিখতেন।
আর আমার কথা বলার চেয়ে লিখতেই বেশি ভালো লাগতো। লিখতে লিখতে হয়তো একটু উন্নতি হয়েছে এই যা...। বলে রাখা ভালো, আমি কিন্তু নিজেকে এখনো কাঁচা লেখক হিসেবেই জানি। এটা বিনয় নয়, সত্যি।

● আপনার সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার নির্মাণ এগিয়ে যাক। শুভ কামনা। ভালো থাকুন।
বন্য পীতম :  ধন্যবাদ। সবাই তো সব জানতে চান না অথবা সব কথা সবাইকে বলাও হয় না। সে অর্থে, আমিও কৃতজ্ঞ। আপনারাও ভালো থাকুন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন