বিউটি বোর্ডিং
কবিতা-পদ্য অনেক লিখেছি; এখন পারি না
যারা পারে আমি তাদের মুগ্ধপাঠক
যেমন নদীর, যেমন শিশুর হাসির
যেমন মায়ের ভাতমাখা হাত
ভাতের নলায় চুল
ঐ চুলই গাঢ় কবিতার ব্যঞ্জনা
দাও, দাও—পাঠ করি
ফেলে রাখি প্রেমও সুখপাঠ্য না হলে
অপাঠ্য হলে রাজারও নিকুচি করি
প্রাসাদে-প্রাসাদে পদকপাঠের আসর বসেছে শীতে
রাজানুকূল্যে ধন্য কবিরা ক্রাচে ভর করে হাঁটে
এখনই সময়, চলো, খালিপায়ে বিউটি বোর্ডিংয়ে যাই
প্রহ্লাদ নেই, তাতে কী হয়েছে? তারক সাহাকে ডাকো
সে-ই এঁকে দেবে প্রকাশিতব্য আড্ডার প্রচ্ছদ
নবীন কবিরা, এসো...
মায়ের চুলের ব্যঞ্জনা দাও, তোমার কবিতা পড়ব সবার আগে
শুধু পড়ব না, শোনাবও জনে-জনে
দু'হাতে বিলাব কবিতার কানপড়া
পুরনো স্বভাবে পায়ে-পায়ে সোজা বুড়িগঙ্গায় যাব
যেতে-যেতে পথে নসাসে মারব ঢুঁ
দেখেশুনে সব জর্জ ভাই চায়ে সিঙ্গারা ডোবাবেন
নদী ও কবিতা একযোগে মজে গেলে
খোলাচুলে ঢেউ জাগবে না জলে খোঁপা ভাঙবে না চাঁদ
হে নবীন, এসো, কবিতার খাতা খোলো।
©লেখক : আবু হাসান শাহরিয়ার, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন