মেনু

বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৭

'আরোপিত বিষয়ে আমি লিখতে পারি না; যা আসে তাই লিখি'

রংপুর বইমেলা ২০১৭-তে প্রকাশিত হয়েছে রংপুরের কবি মজনুর রহমান'র প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'বেমানান বায়োস্কোপ'। বইটি প্রকাশ করেছে পাতা প্রকাশ (স্টল : ০৮)। বাংলার মুখ'র সঙ্গে একান্ত আলাপচারীতায় আজকের আয়োজন।



● এবারের রংপুর বইমেলায় আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'বেমানান বায়োস্কোপ' প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম প্রকাশের অনুভূতি বলুন।
মজনুর রহমান : প্রকাশের অনুভূতি দুই রকম। প্রথম প্রথম খুব উত্তেজিত ছিলাম। এখন খানিকটা গ্লানিতে ভুগছি। প্রথম বই প্রকাশের গ্লানি আছে। বিশেষত যদি সেটা কবিতার বই হয়।

● আচ্ছা। গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাসের মতো সাহিত্যের দারুণ কিছু শাখা বর্তমান। কিন্তু আপনার কবিতায় মনোনিবেশ কেন?
মজনুর রহমান : হেঁয়ালি মনে হলেও এর জবাব হলো—আলসেমির কারণে। মূলত আলস্য বশত কবিতা লিখি। এতে তেমন হাড়ভাঙা পরিশ্রম হয় না! তবে কবিতা আপনা-আপনি মস্তিস্কে এসে যাওয়ার একটা ব্যাপারও থাকে। আরোপিত বিষয়ে আমি লিখতে পারি না; যা আসে তাই লিখি। এদিকে আলসেমির কারণে মাথায় অনেক গল্পের প্লট থাকা সত্ত্বেও লিখতে পারি না। নানাভাবে উদ্যেগ নিই, ঘোষণা দিই কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয় খুব কম। জবাবগুলো খুব বড় হয়ে যাচ্ছে নাকি?

● বড় না, বরং ছোট হচ্ছে (হাসি)!  আপনার এই কাব্যগ্রন্থের সামগ্রিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন...
মজনুর রহমান : সামগ্রিক কোন বিষয় নাই আসলে। প্রেম, অপ্রেম, আধাপ্রেম—সব কিছুই আছে একটু একটু। তবে এই প্রশ্নটা নিয়ে আমি নিজেই বহুবার ভেবেছি গত কয়েকদিন ধরে। কী আছে এই কবিতাগুলোয়? যখন প্রেমের কবিতাগুলো দেখি, মনেহয় কীরকম প্রেমের কবিতা এগুলা? চোখে পানিই আসে না! আবার প্রেম বহির্ভূতগুলো দেখলে মনে হয়, প্রেম নেই, দ্রোহ-বিদ্রোহ তো কিছু থাকতে পারতো! এরকম আরকি! তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আমার কিছু পাঠক এই না প্রেম না বিদ্রোহ ধরণের কবিতাই চায়!

● বিষয়বস্তু বেশ জটিল! একটু অন্যরকম প্রশ্ন। যেকোনো লেখকের ক্ষেত্রেই প্রথম প্রকাশে পাঠক প্রিয়তা পাওয়াটা বেশ সময় সাপেক্ষ এবং কঠিন বটে। তারপরেও এখন পর্যন্ত ফলাফল কীরূপ? কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
মজনুর রহমান : অন্যরকম প্রশ্নের অন্যরকম উত্তর হলো—খুব বেশি সাড়া পাওয়ার মতো সময় হয়নি। মাত্র দু'দিন হয় বই মেলায় এসেছে। একদিন গেছে বৃষ্টিতে। কাজেই খুব বেশি সাড়া বোঝা যাচ্ছে না। তবে ফেসবুকে বেশ সাড়া। অনেকেই কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কেউ কেউ সৌজন্য কপিও চেয়েছেন!

● একটু পিছনে তাকাতে চাচ্ছি। লেখালেখির শুরু, তারপর হেঁটে হেঁটে প্রথম কাব্যগ্রন্থ পাঠকের হাতে। উঠে আসার গল্পটা শুনতে চাই।
মজনুর রহমান : যখন নবম শ্রেণিতে পড়ি তখন শুরু। তার আগে একটু আধটু লিখলেও সেগুলো কী করে ছাপতে হয় জানতাম না। নবম শ্রেণিতে যেহেতু ছাপা হয় কাজেই নবম শ্রেণিতেই শুরু। তখন কয়েকটা ইসলামী ঘরানার পত্র-পত্রিকা আর স্থানীয় যুগের আলোতে লেখা পাঠাতাম। যেটা ছাপা হতো হতো, যেটা না হতো নেই—এভাবে চলতে থাকে। পরে রংপুরে এসে বিভিন্ন ভাবে যুগের আলো লেখক পরিষদ, ছান্দসিক, বিভাগীয় লেখক পরিষদ—এরকম সংগঠনগুলোতে যেতে-আসতে এবং পড়তে পড়তেই নিজের লেখালেখিকে পোক্ত করার চেষ্টা। আসলে, উঠে আসিনি এখনও। পড়েই আছি!

● আপনার সঙ্গে কথা বলে অনেক ভালো লাগলো। আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময়ের কিছুটা দেয়ার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার নির্মাণ এগিয়ে যাক। শুভ কামনা। ভালো থাকুন।
মজনুর রহমান : আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ—সময় নেয়ার জন্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন