১.
চিহ্ন
চিহ্ন
সে এসে ফিরে গেছে !
খেতের আইল পথে, রেখে গেছে পদ-চিহ্ন ।
ঝোপের আড়ালে ঘর বাঁধা বুনো পিঁপড়ের সারি,
শুনেছে তার দীর্ঘ রোদণ, নিঃশ্বাস পতন ।
তার অশ্রু-জল, এঁকে দিয়ে গেছে, স্বচ্ছ কাজল
শিশিরি টল-মল, ধান পাতার উপরে ।
পেছনে দাঁড়ানো যেন কে -
কার গাঢ় নিঃশ্বাস, আদর বুলোয় পিঠের উপরে?
নাহ
সে নেই !
চলে গেছে ...
মধ্য রাতের নির্জনতা ভেঙে, মিশে গেছে দূর; অশ্বারোহীদের ভীড়ে ।
আড়মোড়া ভেঙেছে সকাল, পেরিয়েছে কত না রদ্দুর !
আসে নি ফিরে ।
সকাল বুঝি বা ফিরে আসে না কখনো-
অপরাহ্নের কাছে ।
বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে, এঁকে দিয়ে গেছে তাই, কাঁটা তারের সীমান্ত ।
এপাড়ে উত্তাল ঢেউ, আছড়ে ভাঙ্গছে পাড়-
জানিয়ে মিনতি,
"আর একটিবার কি তুমি
ফিরে আসতে পারো না?"
খেতের আইল পথে, রেখে গেছে পদ-চিহ্ন ।
ঝোপের আড়ালে ঘর বাঁধা বুনো পিঁপড়ের সারি,
শুনেছে তার দীর্ঘ রোদণ, নিঃশ্বাস পতন ।
তার অশ্রু-জল, এঁকে দিয়ে গেছে, স্বচ্ছ কাজল
শিশিরি টল-মল, ধান পাতার উপরে ।
পেছনে দাঁড়ানো যেন কে -
কার গাঢ় নিঃশ্বাস, আদর বুলোয় পিঠের উপরে?
নাহ
সে নেই !
চলে গেছে ...
মধ্য রাতের নির্জনতা ভেঙে, মিশে গেছে দূর; অশ্বারোহীদের ভীড়ে ।
আড়মোড়া ভেঙেছে সকাল, পেরিয়েছে কত না রদ্দুর !
আসে নি ফিরে ।
সকাল বুঝি বা ফিরে আসে না কখনো-
অপরাহ্নের কাছে ।
বিস্তৃত দিগন্ত জুড়ে, এঁকে দিয়ে গেছে তাই, কাঁটা তারের সীমান্ত ।
এপাড়ে উত্তাল ঢেউ, আছড়ে ভাঙ্গছে পাড়-
জানিয়ে মিনতি,
"আর একটিবার কি তুমি
ফিরে আসতে পারো না?"
২.
বিষ সরোবর
বিষ সরোবর
দীর্ঘ পথ হেঁটে মন মরুতে, দূরের মরিচিকাকে
জল ভেবে থেমে,
আকণ্ঠ বিষ, পাণ করেছিলে।
জল ভেবে থেমে,
আকণ্ঠ বিষ, পাণ করেছিলে।
ব্যথায় নীল হতে হতে, শূণ্যতার সংকটে
এতটুকু প্রাণ বায়ূ নিতে
কখনো হা করে মুখ, চাতক-বৃষ্টি যেচে
কখনো ছটফটিয়ে,
আমি, তুমি, সে -
আমরা, তাহারা সব জন; নির্জন যখন,
শীতল পাটি পাতা ধ্যানে, নিরবতা ভেঙ্গে
যাচিতে ছিলে যখন, ঈশ্বরের হাত
এতটুকু প্রাণ বায়ূ নিতে
কখনো হা করে মুখ, চাতক-বৃষ্টি যেচে
কখনো ছটফটিয়ে,
আমি, তুমি, সে -
আমরা, তাহারা সব জন; নির্জন যখন,
শীতল পাটি পাতা ধ্যানে, নিরবতা ভেঙ্গে
যাচিতে ছিলে যখন, ঈশ্বরের হাত
ছলনার এক জোড়া চোখ, নাকের উন্নত হাড়
তার ঠোঁটের বক্রতা, স্পষ্ট উচ্চারণে বলে-
আমি-ই ঈশ্বর !
বাড়িয়ে দিলে হাতের এ-পিঠ, ও-পিঠ
শিরা ধারাপাত, উপচানো লাবণ্য ।
হায় অদৃশ্য ঈশ্বর! তোমাতে যাচ্ঞা করিতেছিলো যে
নিমগ্ন ধ্যানী,
তাকে উপেক্ষা করে, কেন দিলে ধাঁ-ধাঁ
প্রেম অবিনাশী?
তার ঠোঁটের বক্রতা, স্পষ্ট উচ্চারণে বলে-
আমি-ই ঈশ্বর !
বাড়িয়ে দিলে হাতের এ-পিঠ, ও-পিঠ
শিরা ধারাপাত, উপচানো লাবণ্য ।
হায় অদৃশ্য ঈশ্বর! তোমাতে যাচ্ঞা করিতেছিলো যে
নিমগ্ন ধ্যানী,
তাকে উপেক্ষা করে, কেন দিলে ধাঁ-ধাঁ
প্রেম অবিনাশী?
এখন না প্রেম, না ঈশ্বর
নাক অব্ধি ডুবিয়ে দিয়েছে দেখ-
বিষ সরোবর ।
নাক অব্ধি ডুবিয়ে দিয়েছে দেখ-
বিষ সরোবর ।
৩.
ভোঁ কাটা ঘুড়ি
ভোঁ কাটা ঘুড়ি
গাছের মগ ডালে, আটকে থাকা ঘুড়িটা
নাটাইবিহীন, মুক্ত স্বাধীন ।
তাই বলে ভেবো না, যে সে খুব সুখে আছে ।
সুতোর কি যাদু! মায়ার মাহাত্ব্য,
জানে শুধু ওই পাখি,
পালক খসে পড়েছে যার একে একে ।
নাটাইবিহীন, মুক্ত স্বাধীন ।
তাই বলে ভেবো না, যে সে খুব সুখে আছে ।
সুতোর কি যাদু! মায়ার মাহাত্ব্য,
জানে শুধু ওই পাখি,
পালক খসে পড়েছে যার একে একে ।
হাওয়ায় ভর করে ওড়ে বেড়াতে, কার না ইচ্ছে হয়!
তাই বলে একে বারে কেও কখনও পিছু ডাকবে না,
চলতে পথে থামিয়ে বলবে না -
চলো এক সাথে ওড়ি! এমনটি তো ভালো নয়!
বাঁধন কিংবা শাসনে আটকে থাকায় হাঁসফাঁস লাগলেও,
আছে মায়া, পিছুটান ফেরার,
নাটাইবিহীন ঘুড়ির তা নেই ।
তাই বলে একে বারে কেও কখনও পিছু ডাকবে না,
চলতে পথে থামিয়ে বলবে না -
চলো এক সাথে ওড়ি! এমনটি তো ভালো নয়!
বাঁধন কিংবা শাসনে আটকে থাকায় হাঁসফাঁস লাগলেও,
আছে মায়া, পিছুটান ফেরার,
নাটাইবিহীন ঘুড়ির তা নেই ।
৪.
এবং তোমাকে
এবং তোমাকে
তুমি এলে কবিতার নায়ে
জলতরঙ্গে বেজে উঠে পাটাতন
সেতারের মতন
জলতরঙ্গে বেজে উঠে পাটাতন
সেতারের মতন
যতখানি এখনও জমা
ঝলসানো পূর্ণিমা!
অক্ষয় অবশেষ, তোমার-ই কারণ
ঝলসানো পূর্ণিমা!
অক্ষয় অবশেষ, তোমার-ই কারণ
এখনও আকাশ জুড়ে
মেঘ জল খেলা করে
ময়ূরী মেখম মেলে
ভেজা তার এলো চুলে
মেঘ জল খেলা করে
ময়ূরী মেখম মেলে
ভেজা তার এলো চুলে
দুর্বৃত্ত বাতাস কেমন
হার মানা ঝড়ো হাওয়া এখন
আতনু চম্পক ঘ্রাণ
রঙের আড়ং
_____________________________
হার মানা ঝড়ো হাওয়া এখন
আতনু চম্পক ঘ্রাণ
রঙের আড়ং
_____________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন